পদুয়া ইউনিয়নের মানুষ সাধারনত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে, তবে কথ্য ভাষায় অনেকক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক শব্দের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। যেমন- বাংলা ভাষায় পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে আমরা জানতে চাই- আপনি কেমন আছেন? এই কথাটি এখানকার মানুষ তাদের ভাব বিনিময় এভাবে প্রকাশ করে, ''অনে গম আছন্ না?'' ঐতিহাসিক ভাবে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে বর্তমান আরাকান নামে অভিহিত করা হতো তাদের সাথে ব্যাপক গমনাগমনের সর্ম্পক ছিল যা এখনও সীমিত আকারে হলেও অটুট রয়েছে। এ কারণে আরকানের ভাষার কিছু কিছু উপাদান চট্টগ্রামের কথ্য ভাষায় মিশ্রিত হয়ে গেছে। যেমন.....
আঞ্চলিক -------------------- পরিভাষা
হ্যাডাম ---------------------- সামর্থ্য।
মাইল্যাপীড়া ----------------- ম্যালেরিয়া রোগ।
ঝোলাপীড়া ------------------- পেঠের অসুখ।
ল্যাডগ্যঁই -------------------- শুয়ে পড়ো।
ল্যাডা ----------------------- ক্ষীণকায়।
আথিক্যা --------------------- হঠাৎ।
ঘুইট্ট্যা ---------------------- গাছের ঘোড়ালী বিশেষ।
যা গই ----------------------- চলে যাও।
কুইরগ্যা --------------------- শুকনা খড়ের স্তপ।
অঁনে ----------------------- আপনি।
থিঅ্যা --------------------- দাঁড়াও।
ইত্যাদি আরো অনেক আঞ্চলিক ভাষায় মানুষ কথা বলে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করে সহজতরভাবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস